নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভবিষ্যতে স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই। এজন্য সাইবার সিকিউরিটি, চিপ ডিজাইনিং, ব্লকচেইন, এআইয়ের মতো ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিতে এক লাখ দক্ষকর্মী গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট মহাসড়ক প্রস্তুত করেছে। বিদ্যুতের সমস্যারও সমাধান হয়েছে। এর ফলে বিপিও খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। হাইটেক ও সফটওয়্যার পার্ক থেকে বড় অঙ্কের রপ্তানি আয় করা সম্ভব হচ্ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর এক হোটেলে ‘পঞ্চম বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ’ এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে সনদ থেকে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করছি। প্রাথমিকে কোডিং শেখানোর মাধ্যমে সরকার এখন প্রবলেম সলভার তৈরি করছে। এখন দেশের ৫৭ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উদ্ভাবন ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সহসাই আইএসপিএবির মাধ্যমে ১ লাখ ৯ হাজার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে পারব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিপিও একটি উদীয়মান ক্ষেত্র। তাই বিপিওকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক বিস্তার ও বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দুই দিনের এই মেলা বড় ভূমিকা রাখবে, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ দেবে।
বিপিওতে নারীদের সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার বলেন, ঘরে বসেই নারীরা এই পেশায় আসতে পারে। তাদের মেধা-শ্রম দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এআই বিশ্বজুড়েই আলোচিত ও একটি বাস্তবতা। এটা আগামীতে আমাদের নানাভাবে প্রভাবিত করবে। তবে এর পেছনে রয়েছে একজন মানুষ। তাই মানুষের প্রয়োজন কোনো দিনই ফুরাবে না। এআই আমাদের কাজ খেয়ে ফেলবে না, তাদেরকে এই মানুষই সৃষ্টি করবে। তাই নতুন দক্ষতা উন্নয়নে সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাই কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই রূপান্তরে মনোযোগী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল ও বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy