নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ীদের কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অন্যদিকে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও ওজনে কম দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ের বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাঁরা এসব কথা বলেন বলে বিএসটিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সব ব্যবসায়ী নকল ও ভেজালের সঙ্গে যুক্ত নন। অনেক ভালো ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বাজারজাত করে বিশ্ববাজারে দেশের সুনাম বাড়াচ্ছেন। কিন্তু কিছু নকল ও ভেজালকারী ব্যবসায়ী রয়েছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের উচিত তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যবসায়ী সমাজ থেকে বাদ দেওয়া।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মাদ নাজমুল হক প্রমুখ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি পণ্য যেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয়, সেভাবে কাজ করছি। নকল ও ভেজাল রোধে সরাসরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআইকে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানসহ বছরব্যাপী বিএসটিআই ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসা অর্জন করেছে। এ অভিযান তৃণমূল পর্যায়ে পরিচালনা করতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি ভেজাল ও নকল প্রতিরোধে বিএসটিআইর সক্ষমতা ও নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সংশোধনের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআইর মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সংবলিত লাইসেন্স প্রদান, পণ্যের হালাল সনদ প্রদান, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করে সনদ প্রদান শুরু করা হয়েছে।
Posted ১:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy