নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তী বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের একই ধরনের কালচার, যৌথ বিনিয়োগের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে কালচার মিল না থাকলে যৌথ বিনিয়োগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের গেটওয়ে না, এটা গেটওয়ে অব ইস্ট। তার সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টারসসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো যুক্ত করে ইস্টার্ন রিজিওন কানেক্টিভিটি বাড়িয়ে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুবির চক্রবর্তী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ এবং ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নদীর ধারে ও সাগরতীর কেন্দ্রিক। তাই রিভার ক্রুজ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, লেদার প্রসেসিং, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও স্বাস্থ্যখাতে এখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য চিটাগাং চেম্বার ও বেঙ্গল চেম্বার যৌথভাবে একটা ইস্টার্ন রিজিওন নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে।
এসময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি নেটওয়ার্কের ভিত্তিতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে লুক ইস্ট পলিসির সম্ভাবনা কথা তুলে ধরেন। ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ১৬ সদস্যবিশিষ্ট এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
সভায় চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যা আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। সেই জন্য আমাদের সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) পলিসি অত্যন্ত লাভজনক। ত্রিপুরাকে ঘিরে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও এগিয়ে নিতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হবে।
দুই দেশের মধ্যে অনেক বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব।
ভারতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পাঞ্চল মিরসরাই শিল্পনগরে বিনিয়োগ ও শিল্পকারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান চিটাগাং চেম্বার সভাপতি।
চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কোনো বৈপরীত্য নেই। যার প্রমাণ হলো দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ করিডোর বিনিময়। এছাড়া দুই দেশ চাইলে কোনো সমস্যা সমস্যা নয়। তিনি উভয় দেশের মধ্যে হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম সেক্টরের বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের অ্যাডভাইজর কনসালট্যান্ট ক্যাপ্টেন আমিরুল ইসলাম, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম সারওয়ার, লুব-রেফর পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল সভাপতি মো. টিপু সুলতান শিকদার।
Posted ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy