নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
বীমাখাতে সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সেবা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে খুব শিগগিরই একটি ইন্স্যুরটেক নীতিমালা প্রণয়ন করছে সরকার।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ব্যাংক বীমা অর্থনীতিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে বীমায় আকৃষ্ট করতে এ খাতে সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বীমার ব্যপ্তি প্রসারিত করতে এবং বেশিসংখ্যক নাগরিকের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষাবলয়ে নিয়ে আসতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে দেশে ইন্স্যুরটেক নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ইন্স্যুরেন্সে টেকনোলজির ব্যবহার বাড়লে সময়োগযোগী প্রোডাক্ট ডিজাইন সহজ হবে, হিসাবায়ন সহজ ও দ্রুত হবে, সর্বোপরি কোন শ্রেণির পেশার মানুষ বীমার আওতায় নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তা নিরুপণ করাও সম্ভব হবে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে ইন্স্যুরটেককে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। একটি ইন্স্যুরটেক নীতিমালা, কোম্পানিগুলোর জন্য লাইসেন্সিং গাইডলাইন প্রণয়নের লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসও (বেসিস) ইতিমধ্যে ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর আলাদা নীতিমালা ও লাইসেন্সিং গাইডলাইন তৈরির দাবি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বীমা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই অর্ধশতাধিক ইন্স্যুরটেক কোম্পানি কাজ শুরু করেছে। যেহেতু ইন্স্যুরটেক বিষয়ে সরকারের কোনো নীতিমালা বা রেগুলেশন নেই, সেহেতু এই খাতে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হচ্ছে না। বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত বীমা কোম্পানিগুলোই শুধুমাত্র ইন্স্যুরেন্স সেবা দিতে পারে।
ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলো নীতিমালার আওতায় আসলে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আই-ও-টি, ডাটা সায়েন্স নির্ভর নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী বীমা সেবা বাজারে আনার সুযোগ তৈরি হবে।
সম্প্রতি বেসিস আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ইন্স্যুরটেক খাতে প্রচুর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য অনেক উন্নয়নশীল দেশে। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্স্যুরটেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আলাদা আইনগত স্বীকৃতি না থাকাতে এই খাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে না। তারা বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার মাত্র ৫%-এর কম বীমা সেবার আওতায় আছে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই হার ২০-৩০% এর উপরে, কেননা সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলো বীমা বাজার তৈরির ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
Posted ৮:১৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy