নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে যানবাহনের গতি নির্ধারণের নীতিমালা আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দুর্ঘটনা অন্তত ৫ শতাংশ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার (৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আয়োজিত ‘সড়ক ও যানবাহনের প্রকারভেদে গতি নির্ধারণ, ব্যবস্থাপনা, মনিটরিং এবং বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
সড়কে যানবাহনের গতি নির্ধারণ করতে চাইলে নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে সড়ক সচিব বলেন, গতি নির্ধারণ করতে চাইলে উল্টো বাড়ানোর দাবি করেন অনেকে। তবে এবার আর কোন বাধায় কাজ হবে না। গতি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা তৈরিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এছাড়া বিআরটিএ থেকে প্রতিদিন দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা জানানো হয় বলে জানান তিনি। বছর শেষে এসব রিপোর্ট নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বেসরকারি সংস্থা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন একটি মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার আমাদের দেশে আইন প্রয়োগে কড়াকড়ি না থাকায় নিয়ম থাকলেও আমরা মানতে চাই না। কিন্তু বিদেশে গেলে ঠিকই মানি। একটি দেশের সভ্যতা প্রদর্শনের জায়গা সড়ক, তাই আমাদের এই জায়গায় শৃঙ্খলা আনতেই হবে।
এছাড়া স্কুলে স্কুলে সড়কে চলাচলের নিয়ম শেখানোর ওপর জোর দেন তিনি।
নিসচার উপদেষ্টা ম হামিদ বলেন, পথচারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি অসহায় বোধ করি। রাস্তা পারাপার সবচেয়ে কঠিন। রাস্তাঘাটে অনেকসময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী। তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। যেমন রাস্তা ভাঙা থাকা, আলো না থাকাসহ নানা কারণে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে আইনের আওতায় আনা যায় এমন আইন থাকতে হবে।
বৈঠকে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক এসএম সোহেল মাহামুদ মূল প্রতিপাদ্য উপস্থান করেন। প্রতিপাদ্যে তুলে ধরা হয় স্পিড ম্যানেজমেন্ট গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের এমন একটি পদ্ধতি যাতে যানবাহনের অতিরিক্ত গতি ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত মোকাবেলা সহজ হয়। এতে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রভাব হ্রাস করা সম্ভব। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্পিড ম্যানেজমেন্টের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
আলোচকরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার আওতায় আনার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি সড়কে রোড সাইন, গতি নির্দেশক ও অন্যান্য ট্রাফিক সাইন দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের প্ল্যানিং অ্যান্ড রোড সেইফটি বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন, জিএইচএআই- এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শরীফুল আলম, ব্র্যাকের প্রাশাসন ও সড়ক নিরাপত্তা প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসাইন, হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জী, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এডিসি সোহেল রানা, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
Posted ৪:৪৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy