নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
এ বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতির হালচাল কেমন থাকবে তা নিয়ে দুরকম মত দিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদরা। তবে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের আর্থিক পরিস্থিতি বিভিন্ন ধরনের অনিশ্চয়তায় মোড়া হলেও পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি মোটামুটি গতিশীল থাকবে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির ফলে জীবনযাপনের খরচ যেভাবে বাড়ছে তাতে চাপে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিপদ আরও বাড়াতে পারে প্রযুক্তির গ্রাসে কমে যাওয়া কাজ।
মঙ্গলবার জেনেভায় শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম গ্রোথ সামিট’। এর উদ্বোধনী আয়োজনে প্রকাশিত হয়েছে ‘চিফ ইকনমিস্টস আউটলুক’ বা মুখ্য অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের সতর্কবার্তা, কাজের বাজারকে এখন সচল মনে হলেও চড়া মূল্যবৃদ্ধির ফলে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েই চলেছে। আগামী পাঁচ বছরে গোটা পৃথিবীতে ১.৪০ কোটি কাজ কমে যেতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে নতুন ৬.৯ কোটি কাজ তৈরি হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যন্ত্রের উন্নতিসহ বিভিন্ন কারণে সঙ্কুচিত হতে পারে ৮.৩ কোটি কাজ। ফলে নিট কর্মহারার সংখ্যা বাড়তে পারে ১.৪ কোটি।
ইউরোপের অর্থনীতির গতি আরও কমবে। মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংক সুদ বাড়ানোয় শিল্পের মূলধন সংগ্রহের খরচ এখনও বেশ কিছু দিন চড়া থাকবে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থার সংকট কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল পাবে ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, তুরস্ক এবং পোল্যান্ড। চীনের অর্থনীতি ফের গতিশীল হওয়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে।
Posted ১২:৪৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy