নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
মহামারি, সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চলমান বৈশ্বিক সংকটগুলো যাতে বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশগুলো ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারে সেজন্য বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের একটি কার্যকর বিকল্প খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার (১ মে) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোট পাঁচটি পরামর্শ দেন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর. মালপাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি, সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চলমান বৈশ্বিক বহুমাত্রিক সংকট বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিকে তীব্র চাপে ফেলেছে। আমাদের কিছু উন্নয়ন অংশীদার তাদের ঋণের খরচ এবং সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি তাদের মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত করছে।
দ্বিতীয় পরামর্শে তিনি বলেন, ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী মসৃণ উত্তরণে বাংলাদেশের মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংককে সহায়তা করার অনুরোধ করেন। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
তৃতীয় পরামর্শে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে সম্পৃক্ত করেছে।
এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়নসহযোগিরা বর্ধিত ছাড় এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন করবে এমন প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ পরামর্শে বলেন, বাংলাদেশ আশা করে বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কর্মকাণ্ড এবং প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী অর্থায়নের বিশাল ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।
জলবায়ু প্রশমন এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সমান বণ্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
পঞ্চম পরামর্শে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশ অবকাঠামো এবং লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। আশা করি আগামী বছরগুলোতে বিশ্বব্যাংক ভৌত ও সামাজিক মেগা প্রকল্পে সম্পৃক্ত থাকবে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি বাংলাদেশের আস্থার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বব্যাংকে আমার উপস্থিতি প্রমাণ করে বিশ্বব্যাংকের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।
জাপানে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটন সফরে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে তার সিংহাসনে আরোহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন যাবেন। সেখান থেকে ঢাকা ফিরবেন।
Posted ৩:০৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy