নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
আসছে জুলাই থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনায় আইএমএফ এর পদ্ধতি অনুসরণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ঋণের সুদহার বাজারমুখী করা এবং ডলারের একক বিনিময় হার নির্ধারণেও কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি জানান, এবারের সফরেও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপের মুখে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আইএমএফ এর কাছে ঋণ আবেদন করে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
মেজবাউল হক জানান, আসছে অক্টোবরে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে পর্যবেক্ষণ, ঋণের অর্থ ব্যবহারের অগ্রগতি এবং অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ তথ্য জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে মঙ্গলবার দিনভর বৈঠক করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এই বৈঠক ছিল রুটিন ওয়ার্ক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও জানান, আসছে মুদ্রানীতিতে আইএমএফ পদ্ধতিতে রিজার্ভ এর হিসাব ও সুদহার নিয়ে বেশকিছু সংস্কার পরামর্শ থাকবে। সেইসাথে ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মুদ্রার একক বিনিময় হার বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।
দিনভর বৈঠকে ঋণের নানা শর্ত পরিপালনের অগ্রগতি দাতা সংস্থা আইএমএফকে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার দুপুরে একটি বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও। বিকালে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মুখপাত্র মেজবাউল হক।
ব্রিফিংয়ে মেজবাউল হক আরও জানান, শিগগিরই মোট ও নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ শুরু হবে। রিজার্ভ বাড়াতে রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ঋণ বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনসহ নানা উদ্যোগের কথাও আইএমএফ প্রতিনিধিদের জানানো হয় বৈঠকে। এ বৈঠকে অংশ নেন দাতা সংস্থাটির আট সদস্য।
আগামী অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য আইএমএফ মিশন এবার ঢাকা এসেছে।
Posted ৭:৫৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy