নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
সাতক্ষীরা জেলার কাঁচা ও পাকা আমের সুনাম দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে অনেক আগে থেকেই। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন আচার তৈরি ও টক খাওয়ার উপযোগি কাঁচা টক আম বাজারে উঠতে শুরু করেছে, যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে।
তবে কৃষি বিভাগ জানায়, গাছ থেকে আম পাড়া ও ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে সরকারি নির্দেশনা মেনে।
জানা গেছে, গেলো বছরে আগাম ঝড়-বৃষ্টিতে আম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়বৃষ্টির প্রভাব বেশি না থাকায় আমের বাম্পের ফলন হয়েছে। এবছর নাম না জানা কাঁচা টক আম বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন আম চাষিরা। কাঁচা টক আম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারেও এই টক আম নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তালা উপজেলার নগরঘাটার আম চাষি মোহাম্মদ তবিবুর রহমান ও জাকির হোসেন জানান, এ বছর নাম অজানা টক আম বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা।
সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজারের মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম গাজী বলেন, পাকাও টক কাচাও টক- এমন আম আচার ও টক তৈরিতে ব্যবহার হয়। এমন জাতের আমেরই এখন ক্রয়-বিক্রয় চলছে।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বাবু বলেন, বাজার মনিটরিং করছি। জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ের আগে ভালো জাতের আম বাজারে ঢুকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমিতির পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়িয়েছি। যে আমগুলি বাজারে আসছে, সবই টক আম। এই আম দিয়ে আচার ও টক খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়।
সাতক্ষীরা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমের জাত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগে আম পাড়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী বা চাষি অপরিপক্ক আম পেড়ে বাজারজাত করতে পারবে না।
Posted ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy