নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ছয়টার দিকে। যেখানে আগুন লেগেছে সেখানেই ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর। আগুনের আরেক পাশে পুলিশ সদরদপ্তর। কিছু দূরেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরও এমন স্পর্শকাতর জায়গায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন সবগুলো বাহিনীর সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৫০টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। তাদের সহায়তায় একে একে ঘটনাস্থলে আসেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা।
বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে দেয়া হচ্ছে পানি। সকাল ৯টার পর থেকে বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। তারা হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে সেখানে ব্যবহার করছেন।
এতসব তৎপরতার মধ্যেও কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, এমন অভিযোগ তুলে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন কিছু বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী। তারা সড়ক থেকে ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে উশৃঙ্খল জনতা আমাদের সদর দপ্তরে এসে হামলা করেছে। গাড়িও ভাঙচুর করেছে।
তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে বাঁচতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের ভেতরে নিরাপদে অবস্থান নেন। আমাদের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আহত হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এরই মধ্যে আশপাশের ভবন থেকে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ঘুমের মধ্যে আগুনের খবর পেয়ে ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা এসে নিজ কাঁধে করে বড় বস্তা ও ব্যাগে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ ভ্যান ও রিকশা ব্যবহার করেও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
বঙ্গবাজারে মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই সেটি পাশের এনেক্স মার্কেটসহ অন্তত ৪টি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এনেক্স মার্কেটে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বঙ্গবাজারের মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এনেক্স মার্কেটের আগুনও নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
সকালে আগুন লাগার পর থেকেই ভিড় করেছে হাজার হাজার উৎসুক জনতা। মানুষের ভিড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তারা বলছেন, মানুষের ভিড়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। মানুষ পানির পাইপের উপর দাঁড়িয়ে থাকছে। পানি নিঃসরণ হচ্ছে না। মানুষকে পিটিয়ে সরিয়ে দিলেও তারা যাচ্ছে না।
Posted ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy