নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ৪৪ ব্যক্তিকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচন করেছে সরকার।
সোমবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সরকার সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী এ ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অবদানের জন্য সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
ছয় ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন যারা
ক্যাটাগরি এনসিআইডি:
এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন, এফবিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ অ্যমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি রুপালি হক চৌধুরি, বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী।
বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন): ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন ২০ জন
তারা হলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস. চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকমোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম. মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নীট টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিক লিমিটেডের পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্স লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিং লিমিটেড ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।
বৃহৎ শিল্প (সেবা):
এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন পাচজন
তারা হলেন, এস টি এস হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ, দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যন্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উদ্দিন, ইষ্টার্ন হাউসিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।
মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন দশজন
তারা হলেন, বিশ্বাস পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসনিন মুক্তাদির, অকো-টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার, রোমানিয়া ফুল এ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ূন কবির বাবলু, প্রমি অ্যাগ্রো ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসো লিমিটেড পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, সিটাডেল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিদুল ইসলাম।
ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন): এ ক্যাটাগরিতে দুইজন সিআইপি হলেন রংপুর ফাউন্ড্রী লিমিটেডের পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান ও আরফান অ্যাগ্রো ফুড লিমিটেডের পরিচালক মাহবুব আলম।
মাইক্রো শিল্প: এ ক্যাটাগরিতে একজন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী এম এ. সবুর।
যে সুবিধা পাবে সিআইপিরা:
আগামী এক বছরের জন্য নিম্নলিখিত সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন:
(ক) শিল্প মন্ত্রাণালয় থেকে সিআইপি (শিল্প) সংক্রান্ত একটি পরিচয়পত্র পাবেন। পরিচয়পত্রে মেয়াদকাল উল্লেখ থাকবে এবং মেয়াদকালীন সময়ে পরিচয়পত্রটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে।
বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।
ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে চলমান সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন:
ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য তার অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে Letter of Introduction (Lol) প্রদান করবে
স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
মেয়াদকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক তাকে শিল্প বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কোনো কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
Posted ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy