নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
রাজধানীর উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রুটে চলাচল করছে মেট্রোরেল। আধুনিক এ পরিবহন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। এ খাতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে একই সময়ে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে মেট্রোরেলে তিন মাসে আয়ের চেয়ে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। ব্যয়ের একটি বড় অংশই বিদ্যুৎ বিল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনায় সবচেয়ে বড় অংশ খরচ হয়েছে বিদ্যুৎ বিলে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। সংশ্লিষ্টদের আমরা ডেকেছি, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের একটা মূল্য ঠিক করে দেওয়ার জন্য। আমাদের দ্বিতীয় প্রধান ব্যয় মেট্রোরেলে কর্মরতদের বেতন বাবদ। এছাড়াও অন্য খরচ রয়েছে।
মেট্রোরেলের আয়-ব্যয় এখন পর্যন্ত খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় জানিয়ে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, পরিপূর্ণভাবে মেট্রোরেল চালু না হলে বোঝা যাবে না, একটা প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমাদের আরও দুটা স্টেশন চালু হচ্ছে। যেখানে নতুন নতুন যাত্রী যোগ হবে। অন্যদিকে এখন রমজান মাস। প্রথম দিকে একটা ট্যুরিস্ট পয়েন্টের মতো ব্যাপক জনসমাগম হতো। যে জায়গাতে এখন ভাটা পড়েছে। তবে নিয়মিত যাত্রীরা যাতায়াত করছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এসব দেশের থেকে আমরা অনেক অনেক এগিয়ে রয়েছি। কোনো দেশেই মেট্রোরেলে একসঙ্গে সবগুলো স্টেশন খুলে দেওয়ার নজির নেই।
Posted ৭:৩০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy