নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
এবার আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন। কোম্পানির আনুষঙ্গিক খরচ কমানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ব্যয় কমাতে জানুয়ারিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল এই বড় প্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন কোম্পানিটি।
বিবিসি জানিয়েছে, এ নিয়ে খুব অল্প সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো কর্মী ছাঁটাই করছে অ্যামাজন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ছাঁটাইয়ের কাঁচি সবচেয়ে বেশি পড়বে ক্লাউড কম্পিউটিং, টুইচ ও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রগুলোয়।
অ্যামাজন এখন একটি বহুজাতিক কোম্পানি। তবে কোন দেশ থেকে কী পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কর্মী ছাঁটাইয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ডি জ্যাসি বলেছেন, ‘এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আমরা দীর্ঘ মেয়াদে এটাকেই প্রতিষ্ঠানের জন্য সেরা উপায় বলে মনে করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে অনিশ্চিত অর্থনীতিতে বাস করছি এবং অদূর ভবিষ্যতেও যে অনিশ্চয়তা বিদ্যমান, তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা ব্যয় কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কোভিড মহামারি চলাকালে যখন মানুষ ঘরবন্দী ছিল, তখন অ্যামাজনের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাদের বিক্রি কমে গেছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের জীবনযাত্রা সংকটে পড়েছে, তাই তারা কম খরচ করছে।
অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, ‘কর্মী হারানো কখনোই সহজ বিষয় নয়। যাঁরা ছাঁটাই হচ্ছেন, এত দিন কোম্পানির সঙ্গে থেকে কাজ করার জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
খবরে বলা হচ্ছে, ২০০৯ সালের পর এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে গুগল, মেটা, টুইটারসহ প্রযুক্তি খাতের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই করতে শুরু করে। তখন যেন বিশ্বে একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঢল শুরু হয়।
গত পাঁচ মাসের মধ্যে মেটা ২১ হাজার, অর্থাৎ তাদের প্রায় ২৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। গুগল ছাঁটাই করেছে ১২ হাজার কর্মী। গত নভেম্বরে টুইটার একসঙ্গে ৩ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করে। আর এরিকসন ছাঁটাই করেছে তাদের ৮ হাজার ৫০০ কর্মী।
Posted ৫:০১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy