নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটিসহ মোট সাতটি প্রস্তাবের বিপরীতে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯০০ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার এবং সৌদি আরব’র প্রতিষ্ঠান থেকে এই সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে রাশিয়া থেকে এই সার আমদানিতে সারের বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরও এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ২৮৯.৭৫ ডলার।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। কাতারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মিট্রিক টন ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
সার আমদানির বাকি দুটি প্রস্তাবও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবে সৌদি আরব থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সৌদি আরব’র সঙ্গে চুক্তি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩৬৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
এছাড়া সৌদি আরব থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির আর একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
Posted ৩:১১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy