সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়াদোত্তীর্ণ এল‌সির দায় ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট

মেয়াদোত্তীর্ণ এল‌সির দায় ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে

মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি এল‌সির (ঋণ পত্র) দায় আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে বিদেশি ব্যাংকগুলোকে আশ্বস্ত করে‌ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তি‌নি জা‌নান, বাংলাদেশ কখনও খেলাপি হয়নি; আগামীতেও এলসির দায় শোধে সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় গভর্নর এসব কথা ব‌লেন।

‘মিট দ্য গভর্নর’ নামে এ সভার আয়োজন করে এবি‌বি। এতে ১২২ জন অংশ নেন। সভায় গভর্নর ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গভর্নরের সভার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, সরকার ও সরকারি ব্যাংকের কাছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর যে পাওনা রয়েছে, তা কীভাবে শোধ করা হবে বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকগুলো গভর্নরের কাছে জানতে চায়। তখন গভর্নর বলেন, ইতিমধ্যে ৮০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

তি‌নি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করছে। সেই ডলার সরকারি ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি ব্যাংক এসব ডলারের মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধ করছে। আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সব মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দায় পরিশোধ হয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলোর ২ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এরই মধ্যে বকেয়ার ৮০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারও দ্রুত পরিশোধের পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে এ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে।

বিশেষ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাত সংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়েছে। আশার বিষয় হলো, পর্ষদ পুনর্গঠনের পর বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চলতি হিসাব ইতিবাচক হয়েছে। ব্যাংক খাত সংস্কারে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে।

গভর্নন জানান, তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর সমস্যা কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান। মানুষের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। সবচেয়ে আশার বিষয় হলো, প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে। অর্থ পাচার ঠেকাতে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসছে। এরই মধ্যে রিজার্ভ উন্নতি হতে শুরু করেছে। যেসব বকেয়া রয়েছে তা-ও দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে জানান গভর্নর।

সভার শুরুতে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর্থিক খাতে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের ফলে মানুষের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। ডলার বাজার স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। ফলে পরিশোধ সক্ষমতা আরও বেড়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com