সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দরকার, নয়ত ছড়িয়ে পড়তে পারে ভারতেও : ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট

বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দরকার, নয়ত ছড়িয়ে পড়তে পারে ভারতেও : ইউনূস

গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। এখন প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিনবাহিনীর প্রধান, কোটা সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়কদের বৈঠক হয়। এরপরই প্রফেসর ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এমন সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলেছেন ইউনূস। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, এখন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দরকার। যদি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা না ফেরে তাহলে মিয়ানমার ও ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত সাত অঙ্গরাজ্যও অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছেন তিনি।

এনডিটিভির কাছ থেকে ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয় এখন আন্দোলন কার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না আনা গেলে পরিণতি কি হবে?

জবাবে তিনি বলেন, “এটি কোনো সুখকর পরিস্থিতি হবে না। যদি আপনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেন। এটি পুরো বাংলাদেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে। যারমধ্যে থাকবে মিয়ানমার, (ভারতের) সেভেন সিস্টার এবং পশ্চিমবঙ্গসহ সব জায়গা।”

“মিয়ানমারসহ আমাদের চারপাশে এটি হবে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত… এবং এটি আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যায় পরিণত হবে। কারণ আমাদের এখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।”
বাংলাদেশে ১৭ কোটি জনগণ রয়েছে; যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং তারা কখনো ভোট দেয়নি উল্লেখ করে ইউনূস বলেছেন, “আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে তারা খুশি, আইন মান্যকারী সাধারণ মানুষ এবং তারা জানবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র রয়েছে। এসব তরুণ তাদের জীবনে কখনো ভোট দেয়নি। তারা কখনো ভোটকেন্দ্রে যায়নি কারণ ওই নির্বাচনগুলো কখনো হয়নি। আমাদের শুরুটা হবে; আমাদের এই তরুণদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”

বাংলাদেশ বর্তমানে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পরামর্শে সেনাবাহিনী একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করবে। এছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তিনি আন্দোলনকারীদের সহায়তা চেয়েছেন।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আন্দোলনটি প্রথমে শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে থাকা কোটা সংস্কারের দাবিতে। তাদের দাবি ছিল, এসব কোটার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছিল আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। কিন্তু এই আন্দোলন থামাতে হাসিনা সরকার সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে। এতে করে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হন। পরবর্তীতে এটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। এরপর হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু এর আগে ঝরে যায় শত শত তাজা প্রাণ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০২৪

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com