নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-ক্যাডার উপসহকারী প্রকৌশলী পদের সদ্য শেষ হওয়া নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হলে এটি বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন। তবে পূর্বে যেসব পরীক্ষা হয়েছে সেগুলো নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার পিএসসিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এর মধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর অগ্রগতিও জানানো হবে।
তিনি বলেন, কমিশনের যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাদের সাসপেন্ড করা হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে পরীক্ষাগুলোর কথা বলা হয়েছে ১২ বছরের, আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি ওইসব পরীক্ষা নিয়ে। ফলে সেটিই প্রমাণ করে পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু হয়েছে।
গাড়িচালক আবেদ আলীর বিষয়ে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন নির্ধারণ ও সাপ্লাই করা হয়, সেখানে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যেহেতু অনেকেই জড়িত থাকেন, তাই শতভাগ নিশ্চিতভাবেও বলা যায় না।
যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ মেলে, তাহলে আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে– এ কথা জানিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই প্রশ্ন বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন এবং সেটিকে পিএসসির প্রশ্ন দাবি করেন।
এখন পর্যন্ত সিআইডি থেকে কোনো প্রতিবেদন পাইনি, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাসপেন্ড লেটার তৈরি করা হয়নি। গ্রেপ্তার দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে সাসপেন্ড লেটার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও পিএসসির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে বিক্ষোভ করেছেন দুই শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। এ সময় তারা গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান। আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুর ১টার দিকে তারা সেখান থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো– গত ৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে হবে, প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা জানান, রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুধুমাত্র প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রিলির প্রশ্নফাঁস করলেই সহজে চাকরি পাওয়া যায়। এজন্য একটি চক্র এ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। বিসিএসের মতো এ নিয়োগেও প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিলে প্রশ্নফাঁস ও তদবির বাণিজ্য কমবে।
Posted ৪:৫০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy