নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে বড় সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তবে সেজন্য খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তারা। এমন পরিস্থিতে, বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্যের বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ইকো-সিস্টেম উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১২ মে) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে হালাল খাদ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ইউসুফ। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই পরিচালক মুনতাকিম আশরাফ টিটু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য হালাল খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনুধাবন করে মুসলিমদের পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমুসলিমরাও হালাল খাদ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বেশকিছু দেশ হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এই বাজারে বাংলাদেশেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদ্যসহ হালাল শিল্পের উন্নয়নে দেশে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা হওয়া জরুরি।
বিএসটিআই এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন- এই দুটি প্রতিষ্ঠান দেশে বর্তমানে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান করছে। সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজ করা, গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা এবং সক্ষমতা বাড়াতে হালাল সনদ প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। পাশাপাশি হালাল শিল্পের উন্নয়নে কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, হালাল ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে সবার আগে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নিরাপদ এবং গুণগত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারসহ এই খাতের বড় অংশীজনদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় বিএসটিআই এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করাসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং হালাল শিল্পের জন্য নীতি সুবিধা আহ্বান করেন কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি হালাল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, অর্থায়ন সুবিধা, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
Posted ১:৪৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy