নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
হাইব্রিড পদ্ধতিতে ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম এজিএম করলো পুঁজিবাজারে বীমা খাতে তালিকাভুক্ত সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এক প্রজ্ঞাপনে হাইব্রিড পদ্ধতিতে এজিএম করার নির্দেশনা জারি করা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান হোসেন আকতার। শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণে ২০২৩ সালের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদনসহ আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদন, স্তিতিপত্র, লাভ লোকসান হিসাব ও অডিট প্রতিবেদন, পরিচালক নির্বাচন, অডিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। শেয়ারহোল্ডাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন।
অংশগ্রহণকারী বিনিয়োগকারীবৃন্দ কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আগামিতে লভ্যাংশ আরো বাড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যাশা করে কোম্পানির ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করেন। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রস প্রিমিয়াম ৮২ কোটি ৯ লাখের বিপরীতে নিট প্রিমিয়াম হয়েছে ৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের বছর গ্রস প্রিমিয়াম ছিল ৮৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং নিট প্রিমিয়াম ছিল ৫৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। তবে অবলিখন মুনাফার ক্ষেত্রে চমক দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালে অবলিখন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা যা আগের বছর ছিলো ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮.৮০শতাংশ। ২০২৩ অর্র্থ বছরে করপূর্ব ও কর পরবর্তী মুনাফার বিগত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । আলোচ্য বছরে করপূর্ব ও কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে যথাক্রমে ৩০ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং ২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ২১ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং ১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এদিকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটি ২০২২ সালে যেখানে ছিলো ১২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা তা বেড়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ১৩৯ কোটি ৯লাখ টাকা। ২০২৩ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।
সমাপ্ত বছরে প্রতিষ্ঠানটির এমন ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩.০২ টাকায়, যা আগের বছর ছিল ২.২৫ টাকা এবং এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০.৪০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৮.৫৭ টাকা। বছর শেষে ব্যবসায়িক এমন পরিসংখ্যানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদনসহ আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালক নির্বাচন, অডিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণসহ যাবতীয় আলোচ্যসূচি শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়।
Posted ৭:৪১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy