নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে সুদহার বাড়ানো হয়নি। এটা নিয়ে অভিযোগ করা ঠিক নয়। আমরা সফটলি, ধীরে ধীরে বাড়িয়েছি।
রোবাবর (১০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা : বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোর যৌথভাবে এ সভা আয়োজন করে।
ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাইরের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত অনেক কিছু আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তার মধ্যে মূলস্ফীতি ও খেলাপিতে এই প্রভাব বেশি পড়েছে। সুদের হারের সিঙ্গেল ডিজিটের ক্যাপটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দেরিতে তুলে নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা সুদের হার বাড়িয়েছি, কিন্তু সেটা সফটলি এবং ধীরগতিতে বাড়ানো হয়েছে। যদিও বলা হয়ে থাকে আইএমএফের চাপে বাড়ানো হয়েছে, তবে এটা নিয়ে অভিযোগ করা ঠিক নয়। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে যে ঋণ কম বিতরণ করা হচ্ছে সে কথাটিও সঠিক নয়। কারণ, যে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে তার মোট ৮০ ভাগ বেসরকারি খাতে বিতরণ করা হচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অর্থবছরের বাজেট বেসরকারি খাতের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হবে। বেসরকারি খাতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। বেসরকারি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব হবে। সরকার বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার চায় বেসরকারি খাত আরও বেশি বৃদ্ধি পাক, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখুক। আশা করছি সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করে দেশকে আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে।
এসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক কারিকুলামের কঠোর সমালোচনা করেন ব্যবসায়ী নেতা ও সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার পার্থক্য তুলে ধরে উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শত বছর ধরে পালি ও তার কাছাকাছি কিছু বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় যেখানে পড়ানো হয়, জনগণের করের টাকায় সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এসব অর্থ অপচয়ের মানে হয় না। আমাদের এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দরকার। সেগুলো না করে কেন বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ। বাস্তবতার সঙ্গে এগুলোর মিল কোথায়, তা ভেবে দেখা দরকার।
তিনি বলেন, দেশে বেকারের সংখ্যা ২ কোটি, কিন্তু দক্ষ জনবল পাচ্ছে না দেশ। বাইরের এক লাখ ২৫ হাজার মানুষ আমাদের দেশে চাকরি করছেন। তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন।
Posted ৫:২৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy