দেশের আরও তিন পোশাক কারখানা আন্তর্জাতিক লিড সনদ পেয়েছে। এ নিয়ে দেশে লিড সনদ পাওয়া পোশাক কারখানার সংখ্যা ১৯২-এ উন্নীত হলো, যার মধ্যে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে ৬৮টি কারখানা।
নতুন সনদ পাওয়া কারখানা তিনটি হলো এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস এক্সটেনশন প্রজেক্ট, পি এন কম্পোজিট লিমিটেড ও ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেড। এর মধ্যে এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস ও পি এন কম্পোজিট পেয়েছে প্লাটিনাম সনদ আর ঢাকা গার্মেন্টস পেয়েছে গোল্ড সনদ।
পরিবেশবান্ধব কারখানার দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সবার আগে। বিশ্বের এক নম্বর বা শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানাও এখন বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) মান সনদে বা লিডের পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় সারা বিশ্বে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেডের চতুর্থ ইউনিট। এটি পরিবেশবান্ধব কারখানার বিভিন্ন মানদণ্ডে ১১০ নম্বরের মধ্যে ১০৪ পেয়েছে।
ইউএসজিবিসির সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৮টিই বাংলাদেশের। বাকি দুটির একটি ইন্দোনেশিয়ার ও একটি শ্রীলঙ্কার। ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বের সেরা পরিবেশবান্ধব কারখানাটি ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। কারখানাটি ১১০ নম্বরের মধ্যে ১০১ পেয়েছিল। এখন শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে গ্রিন টেক্সটাইল।
এ ছাড়া শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে বাংলাদেশের কারখানা ৫৩টি।
শীর্ষ ১০-এর তালিকায় থাকা বাংলাদেশি বাকি ৭টি কারখানার মধ্যে আছে রেমি হোল্ডিংস, ফতুল্লা অ্যাপারেলস, তারাসিমা অ্যাপারেলস, প্লামি ফ্যাশনস, সিল্কেন সুইং, মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশি কারখানার নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউএসজিবিসি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল। পৃথিবীজুড়ে এটি পরিবেশবান্ধব ভবন ও কারখানা নির্মাণে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে। এমনকি পরিবেশবান্ধব কারখানা বা স্থাপনা তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ডও রয়েছে তাদের।
সংস্থাটির দেওয়া সনদ এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্বের বড় বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এ সংস্থার সনদকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে। এ জন্য ইউএসজিবিসির সনদকে এ দেশের শিল্প উদ্যোক্তারাও বেশ গুরুত্ব দেন।
ইউএসজিবিসির তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা সব কারখানা লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। বিভিন্ন মানদণ্ডে ১১০ নম্বরের মধ্যে ৮০ বা তার বেশি নম্বর পায়, এমন কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়। লিড-এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হচ্ছে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন।
সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন মানদণ্ডে নির্ধারিত মান রক্ষা করতে হয়। নির্ধারিত মান বজায় রেখে নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও এ সনদের জন্য আবেদন করতে পারে কারখানাগুলো।