নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
তুরস্কের কোকাকোলা আইসেক (সিসিআই) ১৩ কোটি মার্কিন ডলারে কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) কিনে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সিসিআই। এতে বলা হয়েছে, ১৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে সিসিআই কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে। সিসিআই ইতিমধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এই অধিগ্রহণে নগদ অর্থায়ন করবে। সিসিবিবির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা আছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, সিসিআই তার সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সিসিআইএইচবিভি ও কোকা-কোলা কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে। যার প্রধান শেয়ারহোল্ডার হবে সিসিআইএইচবিভি।
সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তিকে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছি।’
কোকা-কোলা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) ২০১৭ সালে ৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানাটি স্থাপন ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলে। তার সাত বছর পর সিসিবিবি ইস্তাম্বুলভিত্তিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের কোমল পানীয়ের বাজার ৪ হাজার কোটি থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোমল পানীয় প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ ও পারটেক্সের মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।
সিসিআইয়ের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিসিআই কোকাকোলা ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে। ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশগুলো হলো—তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সিসিবিবি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় দশ কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী, একটি বোতলজাত প্লান্ট ও তিনটি প্রধান গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয় পয়েন্ট আছে। এছাড়া তাদের ৫০০ ডিস্ট্রিবিউটর আছে।
Posted ১:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy