নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের (এসএমই) উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্মার্ট এসএমইদের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি’ বিষয়ক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সামীর সাত্তার বলেন, দেশের এসএমইদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ খাতে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভবিষ্যতে স্মাট অর্থনীতিতে রূপান্তরে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করার পাশাপাশি বিশেষ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে স্থানীয় এসএমইরা গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা পালন করে আসছে। আমাদের ৯ মিলিয়ন এসএমই উদ্যোক্তা কৃষি, পণ্য উৎপাদনসহ ব্যবসায়ের বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে এবং জিডিপিতে তাদের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ।
এসএমইদের প্রযুক্তি বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি, তথ্য-প্রযুক্তি গ্রহণে স্বল্প সুদে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা, ফিনটেক ব্যবস্থার সর্বাত্মক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, টেকনোলজি ট্রান্সফার, কর ও শুল্কবিষয়ক সহায়তা প্রদান, নীতি সহায়তা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে স্মার্ট সরকারের পাশাপাশি স্মার্ট ইকোনোমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের সংস্থাগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জনগণের ভোগান্তি ও ব্যয় কমবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। এসএমই খাতে যথাযথ তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি এ খাতের সম্প্রসারণে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের একান্ত অপরিহার্য।
সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাথাপিছু আয়, জ্বালানি সক্ষমতাসহ অন্যান্য সূচকে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেসরকারিখাত। আমাদের এসএমই উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি সাহসী এবং নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্য-প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানো গেলে অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। প্রযুক্তি গ্রহণে আমাদের ভয়-ভীতি দূর করতে হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান বলেন, সারা দেশে আমাদের ৮৫টি কার্যালয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম আছে, যেখান থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ শতাংশ হারে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়। আমাদের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিসিক নানা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধে জিবিএল ফিনটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ এবং ‘গ্লোবাল ইনোভেশন’ সূচকে বাংলাদেশ যথাক্রমে ৮৪ ও ১০৫তম স্থানে আছে। তাই, এ ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান উন্নয়নের বিকল্প নেই। প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, আর্থিক সহায়তার সীমাবদ্ধতা এবং দক্ষতার অভাব আমাদের এসএমই খাতের উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।
সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ইলমুল হক সজীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির অধ্যাপক ড. বি মাইনুল হাসান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বক্তব্য দেন।
Posted ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy