নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
অবরোধের মধ্যে জ্বালানি তেল পরিবহনে জেলা প্রশাসক ও এসপিদের সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। টানা অবরোধে যাতে তেল পরিবহনে কোনও সংকট না ঘটে সে জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিপিসি বলছে, রাস্তায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এতে তেল পরিবহনকারী ট্যাংক লরিগুলো আতঙ্কে থাকে। এ ধরনের কোনও পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হলে তা আশপাশে প্রাণহানির ঘটনা ঘটাতে পারে।
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ২৮ অক্টোবরের পর থেকে টানা কর্মসূচি পালন করছে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো আজ একদিনের বিরতি দিয়ে আগামীকাল ও ৯ নভেম্বর ফের দুই দিনের অবরোধ দিয়েছে। সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চ বলেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত টানা কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় সহিংসতা আরও বাড়বে কিনা সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে তেল পরিবহনে যাতে কোনও সংকট না হয় সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো বলে বিপিসির একজন কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি দিয়ে বলেছি নিজ নিজ এলাকায় তেল পরিবহনের ট্যাংক লরি গেলে যেন সেগুলোকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কোনও ক্ষেত্রে ট্যাংক লরির মালিকরা কোনও বিশেষ নিরাপত্তা চাইলেও তা যেন দেওয়া হয় সে বিষয়েও অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, গত ৩ নভেম্বর বিপিসি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের এ বিষয়ে চিঠি দেয়।
বিপিসি বলছে, নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জন্য তেল নেওয়ার ক্ষেত্রে বিজিবির সহায়তা নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কোনও উড়োজাহাজে তেলের সংকট যাতে না হয়, বিপিসি সেই ব্যবস্থা আগেই করেছে।
চট্টগ্রাম, ঢাকার নারায়ণগঞ্জ এবং খুলনার দৌলতপুর, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে তেল পরিবহন করার জন্য জাহাজ ব্যবহার করা হয়। এসব জায়গা থেকে স্বল্প দূরত্বে জ্বালানি নেওয়ার জন্য ট্যাংক লরি ব্যবহার করা হয়। তবে অধিক দূরত্বে তেল পরিবহনের জন্য ট্রেনের ওয়াগন ব্যবহার করা হয়।
জানতে চাইলে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি মিজানুর রহমান রতন বলেন, আমরা নিরাপত্তার কথা সবার আগে চিন্তা করছি। গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বিপিসি কাজ করছে। আমরা শুধু পরিবহনের নিরাপত্তাই নয়, গাড়ি ছাড়া যাতে অন্য কোনও কিছুতে, যেমন- বোতল, ক্যান বা ড্রামেও যাতে তেল না দেওয়া হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা হচ্ছে।
পুলিশও এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পেট্রোল পাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, জ্বালাও-পোড়াও যেভাবে হচ্ছে তার অন্যতম উপাদান হচ্ছে এই পেট্রোল। আপনারা ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিক। সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব এসব প্রতিরোধ করা। এ ধরনের কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে।
Posted ১:২৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy