সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অসাংবিধানিক: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অসাংবিধানিক: টিআইবি

বাংলাদেশে প্রতি বছর বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতি সহায়ক বলে উল্লেখ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই ব্যবস্থা চিরতরে বাতিল করা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী দ্বিতীয় ও পঞ্চম অধ্যায় বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে এ সুপারিশ তুলে ধরেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

টিআইবি’র সুপারিশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং একে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।

দুদকের এখতিয়ার এবং এর কার্যপরিধি খর্ব করে- আইনের এমন ধারাসমূহ এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ বাতিল করতে হবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশোধন করে ২০১২ সালের সংস্করণে যেসব বিষয়কে মানিলন্ডারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল সেগুলো পুনরায় এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ ও অপসারণের এখতিয়ার স্বাধীন সত্তার (যেমন: সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল) ওপর ন্যস্ত করতে হবে। বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে একে সম্পূর্ণ পৃথক করতে হবে। অধস্তন আদালতে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণের সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। বিচারিক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ ও হালনাগাদ করাসহ আচরণবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করার ওপর গুরুত্ব দেয় টিআইবি।

পাবলিক প্রসিকিউটর ক্যাডার সার্ভিস চালু করার কথাও জানায় টিআইবি। সংসস্থাটি জানায়, দুর্নীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ ও অন্যান্য কার্য পরিচলনায় আইনগত বাধা দূর করে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের অংশগ্রহণ সহজ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ নিশ্চিতকরণে সম্পদের বাৎসরিক বিবরণ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি ও প্রয়োগ করা এবং এক্ষেত্রে একটি কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা চালু করা ও ব্যত্যয়ের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং সরকারি ক্রয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ও একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা দূর করতে হবে৷ এতে সব ধরনের ও পরিমাণের সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি প্রবর্তন করার কথাও বলা হয়।

জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদের বাস্তবায়নে বাংলাদেশের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত অগ্রগতি দৃশ্যমান উল্লেখ করে আইনের কার্যকর প্রয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্ভাবনার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে এবং অনেক অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে বলেও টিআইবি জানায়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৪০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com