নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে মানুষ। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস অবস্থা। এর মধ্যেও বড় অঙ্কের আমানতের হিসাব সংখ্যা বাড়ছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি। আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংকখাতে আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। এতে জমার পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। আমানতকারীদের এসব হিসাবের মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ‘ব্যাংক হিসাব এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি।
কোটি টাকার উপরে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ প্রায় ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি, বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি। এক বছর আগে ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টি।
চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৭২টি। যাদের হিসাবে জমার পরিমাণ এক লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। আর পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির মোট ১২ হাজার ২৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।
এর আগে গত মার্চ প্রান্তিক শেষে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। যেখানে জমার পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানতের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ১৯২টি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন। যেটা ১৯৭৫ সালে ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে ৯৮টি, ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল।
২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর বেড়ে ১ লাখ ১৯৭৬টি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।
Posted ১২:৪১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy