নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ফরাসি প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।
বৈঠকের আগে উভয় নেতা ব্যক্তিগত কথাবার্তা বলেন। পরে শেখ হাসিনা ও ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফটোসেশনে অংশ নেন।
দুই নেতার উপস্থিতিতে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পরে তারা যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়ার আগে ম্যাক্রোঁ সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে রোববার (১০ সন্ধ্যায়) ঢাকা সফরে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তার এ সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
১৯৯০ সালের ২০-২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এর পর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে এলেন। বাংলাদেশে ম্যাক্রোঁর এটি প্রথম সফর।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ১৯৯০ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে আজ ৪.৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে ফ্রান্স পঞ্চম প্রধান গন্তব্য। ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন ইঞ্জিনিয়ারিং, জ্বালানি, এরোস্পেস এবং ওয়াটার সেক্টরসহ বিভিন্ন খাতে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স আশা করছে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে ম্যাক্রোঁ দুই দিনের সরকারি সফরে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী রোববার রাত ৮টা ১০ মিনিটে ফুলের তোড়া দিয়ে ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান। তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময়ে উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার এবং ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সেখানে তার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরে স্থানীয় ব্যান্ড জলের গানের মিউজিক্যাল শো উপভোগ করতে ধানমন্ডিতে যান। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার বিকেলে ঢাকা ছাড়বেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
Posted ২:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy