নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে ২০ কোটি ডলার সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল বুধবার (৩০ আগস্ট) ওয়াশিংটনের সদর দপ্তর থেকে এ ঘোষণা এসেছে। মূলত মশাবাহিত ডেঙ্গুসহ সাধারণ অসুস্থতার চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও পরামর্শের জন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভা এর আওতাভুক্ত থাকবে।
আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলার প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ে বিভিন্ন স্তরের পরিষেবা এর আওতায় থাকবে। এতে শহুরে এলাকায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৫ লাখ শিশু সেবা পাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু শহরাঞ্চলে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা সীমিত। তাই দরিদ্র ও বস্তিবাসীরা প্রায়শই ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হয়।
সঙ্গে যোগ করেন, জনসংখ্যার অতি ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্রুত নগরায়নের ফলে ডেঙ্গু, সংক্রামক-অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।
প্রকল্পটি নারীদের প্রসবপূর্ব পরিষেবা উন্নত করবে। আড়াই লাখের বেশি নারীকে গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চারটি চেকআপ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং ও প্রায় ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ককে ফলোআপ সুবিধা দেবে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের আউটডোর ও পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকসহ নির্বাচিত বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য কাঠামোর সংস্কার করবে।
মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মানব স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ু দূষণের প্রভাব প্রশমনসহ প্রকল্পটি পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রার প্রচারে কাজ করবে। সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শহর ও পৌরসভা পর্যায়ে কৌশল উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ইফফাত মাহমুদ বলেন, মশার জীবনচক্র জলবায়ু পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রকল্পটি মশা নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারকে শক্তিশালী করবে ও মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্ভাবনী ব্যবস্থা এবং অন্যান্য কমিউনিটি-ভিত্তিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।
এ অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)। এটি বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে সস্তা ঋণ। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছর এ ঋণ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে দেয়া হয়।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শুরুর দিকের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে প্রায় চার হাজার কোটি ডলার অনুদান, সুদ-মুক্ত ও রেয়াতি ঋণ দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৪টি চলমান প্রকল্পে এক হাজার ৫৯০ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতিসহ বিশ্বের বৃহত্তম আইডিএ প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে।
Posted ১২:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter