নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বিদ্যুৎ, জ্বালানি, আইসিটি এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ‘ইউএস- বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ এর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস মার্কিন কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, প্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিরামিকের মতো সম্ভাব্য এবং উৎপাদনশীল খাতে আরও বেশি সুবিধা নেবে এবং বিনিয়োগ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্ব পারস্পরিকভাবে উভয় দেশের জন্য সহায়ক এবং দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস অত্যন্ত গভীরে গেঁথে রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদারদের একজন। আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রেখে চলেছে দেশটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রবৃদ্ধির কৌশল অনুসরণ করছে। এ্ই টেকসই কৌশল স্বীকার করেছে বিশ্ব অর্থনীতিবিদ ও সংস্থাগুলো।
তিনি বলেন, ‘অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকায় আমাদের ব্যবসা এবং বিনিয়োগ নীতিকে সহজ করছি। এটিকে আপনাদের জন্যও সহজ করতে আমি সর্বোত্তম নীতির বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পায়নের সুবিধার্থে সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাই-টেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি আমরা। গত বছর চালু হওয়া পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগিরই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় মেট্রো রেলের অংশ বিশেষ এবং চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো আরও কিছু মেগা প্রজেক্ট চালু হতে যাচ্ছে।’
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ এশিয়া ইউ.এস. চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত (অব.) অতুল কেশপ, এক্সেলারেট এনার্জি (বোর্ড চেয়ার এবং মিশন প্রধান) সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy