নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১১ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
আগামী ১৩ ও ১৪ সেপ্টেস্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কমনপয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’। রোববার (১১ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিযোগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য ও সিডব্লিউইআইসি-এর ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি ও বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসি-এর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন।
জিল্লুর হোসেন বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা এ বছর ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে যোগ দেবেন। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তুলে ধরার জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হবে। এ ফোরমের লক্ষ্য হলো অংশীদারত্ব বৃদ্ধি ও মজবুত করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনেতিক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করা।
সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কমনওয়েলথ সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন দেশটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ অথনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। জাতির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ছিল কমনওয়েলথ সদস্যদের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন। বাংলাদেশের সবচেয় বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কমনওয়েলথকে অবশ্যই এলডিসি, এলএলডিসি, এসআইডিএস এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দেশগুলোর চ্যলেঞ্জ ও ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তীসময়ে জিএসপি সম্পর্কিত বাণিজ্যিক সুবিধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি পুঁজির প্রবাহ এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
লর্ড সোয়ার কেসিএমজি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।
এর আগে ফোরামটি কমনওয়েলথের আন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র; যেমন- যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, মাল্টায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কমনওয়েলথ হলো ৫৬ দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত। বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ কমনওয়েলথের আওতাভুক্ত দেশগুলোয় বাস করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।
Posted ২:৪৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy