নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
জাপানি বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মনোভাবই দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করবে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাপান, বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী দেশ। বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্প্রসারণ, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মেট্রোরেল এবং মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রভৃতি মেগা প্রকল্পে জাপান ইতিমধ্যে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও দেশের বেসরকারি খাত এবং মানবসম্পদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে জাপান ক্রমাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য জাপান ১১তম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ও ৭ম বৃহত্তম আমদানির উৎস এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩.৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বিবেচনায় জাপান ১২তম অবস্থানে রয়েছে এবং ইতিমধ্যে জাপানের উদ্যোক্তাবৃন্দ বাংলাদেশে ৪৫৭.৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে।
সামীর সাত্তার বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মনোভাবই দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরো সুদৃঢ় করবে। বিগত ৫০ বছর ধরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের ভিত্তি বর্তমানে একটি স্ট্র্যাটেজিক পার্টরশিপে পরিণত হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান জাপান সফর সে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
জাপানের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাহাজ নির্মাণ, ইলেকট্রনিক্স, পাট, জ্বালানি, অটোমোবাইল, হালকা-প্রকৌশল, তথ্য-প্রযুক্তি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, শিল্পখাতে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতি খাতে জাপানের উদ্যোক্তাবৃন্দ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সাত্তার।
সামীর সাত্তার বলেন, জাপান বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আগামীতে দুই দেশের মধ্যে ইকোনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরকে তরান্বিত করবে। এলডিসিকে উত্তরণের পর জাপানের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা হারানোর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জে জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্ভাবনাময় জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মাইলস্টোন উদ্যোগ বলা যায়।
Posted ২:২৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy