নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা পশ্চিমের সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আসামির বিরুদ্ধে, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুদকের সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
বুধবার (২৯ মে) দুদক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি ঠাকুরগাঁওয়ে কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাটের সহকারী কার্যালয়ে থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে ৫ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এমন অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। আসামি মো. মনিরুল হক সরকার ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে মংলা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ২০২১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত ছিলেন। পরে একই পদে সদর দপ্তর ঢাকা পশ্চিমের কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট যোগ দেন। ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামির নিজ নামে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় তিনি ১৯৯৬-১৯৯৭ করবর্ষে আয়কর নথি দাখিল করেন। তবে তার ২০০৮-২০০৯ করবর্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে আয়কর নথি পাওয়া যায়। ২০০৭ সাল পযর্ন্ত ২২ লাখ ২ হাজার টাকা ১৯ বি ধারায় প্রদর্শনপূর্বক কর পরিশোধসহ নিট আয়/সঞ্চয় পাওয়া যায় ২৯ লাখ ১১ হাজার ১১ টাকা। ওই করবর্ষ থেকে ২০২২-২০২৩ পযর্ন্ত মোট আয় প্রদর্শন করেছেন ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৬ টাকা। যার মধ্যে ১৯ বি ধারায় প্রদর্শিত আয় ২৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার কোনো উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি। এজাহারে আরও জানানো হয়, কর ও পরিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় দাঁড়ায় ৪ কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৬১৯ টাকা।
তবে দুদকের অনুসন্ধানে আসামির নামে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পিতার কাছ থেকে দান হিসেবে প্রাপ্ত ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বাদে তার নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ১৬০ টাকা।
Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
এজাহারে বলা হয়, তার নামে অর্জিত জ্ঞাতআয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪১ টাকা। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ১৯ এ ধারায় ২ কোটি ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০ টাকা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন। তবে ওই টাকার কোনো উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
Posted ৩:২৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy