নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া হাজিরা বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য খাতে উদ্বৃত্ত অর্থ ফেরত পাচ্ছেন। ১০ হাজার ৩০ জন হাজির ব্যাংক হিসাবে ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ১ হাজার ১৪৯ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার মহাব্যবস্থাপককে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের হজের সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের সৌদি আরব পর্বে দেওয়া প্যাকেজ মূল্যের বাড়ি ভিত্তিক উদ্বৃত্ত অর্থ নিবন্ধনকালে দাখিল করা বা পরবর্তীতে সংশোধিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সরকারি হজযাত্রীদের জন্য ১৬টি বাড়ির ভাড়ার ক্ষেত্রে এই অর্থ উদ্ধৃত রয়েছে। এর মধ্যে বাড়ি-১ এর ক্ষেত্রে প্রত্যেক হাজি ৫৬ হাজার ৩২ টাকা, বাড়ি-২ এর ক্ষেত্রে ৫৭ হাজার ৪৮০ টাকা, বাড়ি-৩ এর ক্ষেত্রে ৫১ হাজার ৭৪৫ টাকা, বাড়ি-৪ এর ক্ষেত্রে ৫১ হাজার ৭৪৫ টাকা, বাড়ি-৫ এর ক্ষেত্রে ৬১ হাজার ৭৬৬ টাকা, বাড়ি-৬ এর ক্ষেত্রে ৬০ হাজার ৩৪৭ টাকা, বাড়ি-৭ এর ক্ষেত্রে ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা, বাড়ি-৮ এর ক্ষেত্রে ৩১ হাজার ৬৭৩ টাকা করে ফেরত পাবেন।
এছাড়া বাড়ি-৯ এ থাকা হাজিরা প্রত্যেকে ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা, বাড়ি-১০ এর প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৭৪৫ টাকা, বাড়ি-১১ এর প্রত্যেকে ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা, বাড়ি-১২ এর প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ১০ টাকা, বাড়ি-১৩ এর প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ১০ টাকা, বাড়ি-১৪ এর প্রত্যেকে ৫৪ হাজার ৬১২ টাকা, বাড়ি-১৫ এর প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ১০ টাকা এবং বাড়ি-১৬ এর প্রত্যেকে ২৫ হাজার ৯৩৮ করে ফেরত পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হজের টাকা ফেরত পেলেন ১০১১৭ প্রাক-নিবন্ধন বাতিলকারী
চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ পালন করেন।
এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘এবার হজে সৌদি অংশে বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে যে খরচটা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি, তা থেকে উদ্বৃত্ত রয়েছে। অন্যান্য কিছু খাতেও টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে সেই টাকাটা আমরা হাজিদের ফেরত দিচ্ছি। হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকার লাভ করে না। প্যাকেজের যেটা খরচ হয়, বাকিটা হাজিদের ফেরত দেওয়া হয়। আগেও দেওয়া হয়েছে, এবারও দেওয়া হচ্ছে।’
Posted ১২:৪২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy