নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
এশিয়ার অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের নিবন্ধন, অর্থায়ন, ব্যবসা উন্নয়নসহ সব সেবা একক সংস্থার অধীনে হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য আলাদা এবং মাঝারিশিল্পের জন্য আলাদা নীতিমালা দরকার। গতকাল রোববার এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইএলও বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার নির্ধারণে জাতীয় অংশীজন পরামর্শ সভা ও নীতি সংলাপ’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মত দেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএলও বাংলাদেশের এসএমই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ গুনজান দালাকোটি এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, এশিয়ার প্রায় সব দেশে সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে একক সংস্থা থাকলেও বাংলাদেশে ভিন্ন সংস্থা থাকায় সমন্বয়হীনতার কারণে প্রয়োজনীয় সেবা পান না উদ্যোক্তারা। এ জন্য সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, অনুমোদন কর প্রদান একই প্রতিষ্ঠান থেকে হওয়া প্রয়োজন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তারাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এসএমই ফাউন্ডেশনসহ সরকার তাদের সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এসডিজির বাস্তবায়নসহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসএমই খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Posted ১:২৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy