নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মাস তিনেক ধরেই দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন ও সূচকে নিম্নমুখিতা দেখা যাচ্ছে। মৌল ভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে থাকায় সেগুলো বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশীদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে মিশ্র পরিস্থিতি দেখা গেছে। বিদেশীদের শেয়ার ধারণে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজে বিদেশীদের শেয়ার ধারণ বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও রেনাটা লিমিটেডের। বাকি পাঁচ কোম্পানিতে বিদেশীদের শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত ছিল।
পুঁজিবাজারে বিদেশীদের শেয়ার ধারণে শীর্ষ ১০ কোম্পানির পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ বছরের জুলাই শেষে এর আগের মাসের তুলনায় তিনটি কোম্পানিতে বিদেশীদের শেয়ার বেড়েছে, কমেছে দুটির আর অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির। আগস্টের শেয়ার ধারণের তথ্য এখনো স্টক এক্সচেঞ্জ প্রকাশ করেনি।
এ বছরের জুলাই শেষে ব্র্যাক ব্যাংকে বিদেশীদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। যেখানে গত জুনে এর পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক শূন্য ২। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে গত জুলাইয়ে বিদেশীদের শেয়ার ধারণ ছিল ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা গত জুনে ছিল ২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের জুলাই ও জুনে বিদেশীদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ একই ছিল ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংকে জুলাই শেষে বিদেশীদের ধারণকৃত শেয়ার ছিল ৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যা গত জুনে ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মূলত ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে সৌদি আরবের আরাবাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সি তার পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয়ার কারণে ব্যাংকটিতে বিদেশী শেয়ার ধারণের পরিমাণ বেড়েছে। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকটির ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজে জুলাইয়ে বিদেশীদের ধারণকৃত শেয়ার ছিল ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা গত জুনে ছিল ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। রেনাটা লিমিটেডে বিদেশী শেয়ার ধারণ জুলাই শেষে ছিল ২২ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা গত জুনে ছিল ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের জুলাই শেষে বিদেশীদের শেয়ার ধারণ ছিল ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা গত জুনেও একই ছিল।
বিএসআরএম লিমিটেডে গত জুলাই ও জুনে বিদেশীদের ধারণকৃত শেয়ার ছিল ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে জুলাই শেষে বিদেশীদের ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা গত জুনে ছিল ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে বিদেশীদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ গত জুলাই ও জুনে একই ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে বিদেশীদের শেয়ার ধারণের ওঠানামা পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে বাজারে বিদেশীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। মূলত ডলার সংকটের কারণে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারেনি। এটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশীদের নিরুৎসাহিত করছে। অন্যদিকে দেশে ডলারের দর এখনো স্থিতিশীল পর্যায়ে না আসার কারণে বিদেশীরা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।
Posted ১২:৪১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | munny akter