নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
এক মাসে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে রেকর্ড ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছেন গ্রাহকরা। গত জুন মাসের চিত্র এটি। একক মাস হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার ৪০৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। ২০২২ সালের একই মাসে ৯৪,২৯৪ কোটি লেনদেন হয়েছিল। এর আগে গত মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যমে লেনদেন হয় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন গ্রাহকরা বুঝতে পারছেন এমএফএসে আস্থা রাখা যায়। এ কারণেই এই খাতে লেনদেন খুব দ্রæত বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এ প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সঙ্গে দিন দিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যাও। বর্তমানে শুধু লেনদেন নয়, অনেক নতুন নতুন সেবাও যুক্ত হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো– অর্থাৎ রেমিট্যান্স পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের জুন মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। আর উত্তোলন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা। এমএফএস সেবায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৩ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ৫ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন কেনাকাটায় লেনদেন হয় ৬ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা।
অনেক গ্রাহক মোবাইল ফোনে একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। লেনদেনের সুবিধার্থে একাধিক সিমে এমএফএস হিসাব খুলছেন গ্রাহকরা। জুন মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা ২০ কোটি ৭২ লাখ ৬৯ হাজার। এদিকে ‘নগদ’-এর মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় রয়েছে সাড়ে ৬ কোটির বেশি গ্রাহক। এ হিসাব যোগ করলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সাড়ে ২৭ কোটি ছাড়াবে।
এসব নিবন্ধিত হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৯৬ ও নারী গ্রাহক ৮ কোটি ৬৮ লাখ ৪১ হাজার ৭৬৬ জন। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭২২টি, যা মে মাসে ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০টি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়।
Posted ১:২২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy