নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
গত মার্চে কাস্টমসের বিভিন্ন সার্কেলে রাজস্ব ফাঁকির ৮০টি মামলা হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকির মামলায় যেসব পণ্য আটক করা হয়েছে তার মূল্য ৩৫ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার টাকা। এসব পণ্যের শুল্কের পরিমাণ ৩২ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে এ জানা যায়।
বন্ডেড সুবিধায় আইএমফোরের মাধ্যমে শুল্কযুক্ত ও আইএমসেভেনের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব কাঁচামাল আমদানির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে পণ্য উৎপাদন করে পুনরায় রপ্তানি করা। তবে আইএমফোর সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল ব্যবহারে নতুন কোনো পণ্য উৎপাদন না করে অবৈধভাবে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন বন্ডেড সুবিধার অপব্যবহারের প্রমাণও পেয়েছে এনবিআর।
সম্প্রতি এক বৈঠকে এ খাতে মনিটরিং জোরদার করতে নির্দেশ দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সভায় বন্ডেড প্রতিষ্ঠানে আইএমফোরে আমদানির সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, আইএমফোরে শুল্কযুক্ত সুবিধায় পণ্য নিয়ে আসায় রাজস্ব ফাঁকির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই রাজস্ব ফাঁকির এসব ঝুঁকি কমাতে বন্ডেড খাতেও মনিটরিং বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছে এনবিআর।
এনবিআরের আরেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে দুই হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠান বন্ডেড সুবিধা ব্যবহার করে আইএমফোরের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছে। আইএমফোর সুবিধায় পণ্য আনায় আমদানির বিষয়টি এনবিআরের বন্ড কমিশনারেট এবং ভ্যাট কমিশনারেট উভয়ের নজর এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সভায় বিষয়টি বিবেচনা করে আইএমফোর সুবিধায় যারা মালপত্র দেশে আনছে তাদের তালিকা মাঠ পর্যায়ে এনবিআরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মনিটরিংয়ের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বন্ডেড সুবিধায় এসব কাঁচামাল এনে পুনরায় কোনো পণ্য উৎপাদন হচ্ছে কি না বা বন্ডেড সুবিধায় এনে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।
Posted ১:৩৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy