নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের বর্তমান জনসংখ্য ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। ‘শুমারি-পরবর্তী যাচাই’ পিইসিতে জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে।
পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) প্রাপ্ত ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বর্ধিত সংখ্যা যোগ হয়েছে প্রাথমিক প্রতিবেদনে প্রাপ্ত সংখ্যার সঙ্গে।
সারা দেশে মোট ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন বেশি পাওয়া গেছে। সমন্বয় করা মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ পল্লিতে (গ্রামে) এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।
গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে। শুমারি শেষ হওয়ার মাত্র ১ মাসের মধ্যে গত বছরের ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি শেষের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট এরর (ভুল) নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০২২-এর অক্টোবরে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র ‘শুমারি পরবর্তী যাচাই’ পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বিবিএস।
এসময় জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনা করে পাওয়া এবং পিইসির মাধ্যমে সমন্বয় করা মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।
এদিকে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮৬ হাজার মানুষ কোনো লিঙ্গের নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি তারা পুরুষ-নারী নাকি তৃতীয় লিঙ্গের কোনো কিছুই শনাক্ত করতে পারেনি বিবিএস।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার, ৬২৯ জন। পিইসি জরিপ অনুসারে পুরুষের ২.৮১ শতাংশ, সে হিসেবে সমন্বয়কৃত পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন; নারী ২.৬৯ শতাংশ, সে হিসেবে সমন্বয় করা নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার হিসাব করা সম্ভব হয়নি। দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। এছাড়াও জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ ১৭ হাজার ৫০৭টি খানার ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জনসংখ্যারও হিসাব করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদেরকে ব্যালেন্স পপুলেশন হিসেবে গণনাকৃত ও সমন্বয়কৃত উভয় অংশে যোগ করা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিআইডিএস-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy