নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
কোনো পক্ষের প্ররোচনায় যাতে কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের মতো ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে সদস্য কারখানাগুলোকে সতর্ক করেছে তৈরিপোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সোমবার (২৭ মার্চ) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সর্তকবার্তা দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটি ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) শুরু হবে বলেও জানানো হয়। এ ছুটি নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। তবে স্ব স্ব কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ ও প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে, ঈদের দুই-তিন দিন পূর্বে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করেছে সংগঠনটি। এটি সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করিয়ে সমন্বয় করা যাবে।
সদস্য কারখানাগুলোর মালিকদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট মোতাবেক, তৃতীয় কোনো পক্ষ শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ার মতো ঘটনার চেষ্টা করতে পারে। সেই দিক থেকে আপনার কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হতে পারে।
সদস্যদের কাছে পাঠানো বিজিএমইএ’র চিঠিতে আরও বলা হয়, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চযাত্রায় একই দিন অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে শ্রমিকদের ছুটির প্রাক্কালে মালবোঝাই ট্রাকে যাতায়াত না করা, তাড়াহুড়ো না করা, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন না করা, অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার না খাওয়ার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়।
শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সহযোগিতা নিতে পারবেন।
Posted ১:৩৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy