নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুরক্ষায় তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাসহ ১২ দফা দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে বিসিএমআইএ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব দাবি পেশ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএমআইেএ’র কো-অর্ডিনেটর এসএম ইকবাল হোসেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সাংবাদিক, গবেষক, অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফজলুল বারী এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল আলম ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ)কো-অর্ডিনেটর মো. নুরুল ইসলাম মানিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুরক্ষায় ফিরিয়ে আনতে বিসিএমআইএ’র পক্ষ থেকে পেশ করা দাবিগুলো হলো-পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরি। স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা, পুঁজিবাজারে দেখা যায় শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানোর জন্য কারসাজি করে আর্থিক প্রতিবেদন দেখায়, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তার মধ্যে অন্যতম।
যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে যেসব কোম্পানির পরিচালকদের ইস্যু মূল্যে বাধ্যতামূলক শেয়ার ক্রয় করতে হবে। আর প্রত্যেক কোম্পানির মালিকানা শেয়ার ধারণ ৫১ শতাংশ থাকতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীকে লোন সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীকে তাহার মূলধনের সমপরিমাণ লোন প্রদান করে ৫ বছর বিনা সুদে রাখতে হবে।
প্রতি মাসে ২টি করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে। মার্কেট মেকার লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে। আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়াতে হবে। প্লেসমেন্ট শেয়ার পরিচালকদের ৫ বছর লক থাকতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৫ বছর নূন্যতম ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে হবে।
নগদ লভ্যাংশ বিওতে পাঠানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে প্রতি বছর মার্কেটে মূলধন বাড়তে পারে ২০০০/২৫০০ হাজার কোটি টাকা।
বিগত ১৫ বছর যেসব কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে সেসব কোম্পানির পরিচালকদের ব্যক্তিগত সম্পদ কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে ও পরের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের সচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
পুঁজিবাজার থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের জিএমজি এয়ার লাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ার বাজারে ছেড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন বেক্সিমকো গ্রুপ। বিগত ১৪ বছর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে উত্তোলনকৃত অর্থ এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। উল্লেখিত বিষয়ে বর্তমান কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
Posted ১:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy