নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৫ মার্চ মাসুদ পারভেজকে জামিন দিয়েছিল। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেয়।
১১ কোটি টাকা পাচারের মামলায় রিজেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিল শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়। আদালত ৮ সপ্তাহের হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৫ মার্চ মাসুদ পারভেজকে জামিন দিয়েছিল। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেয়।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। প্রায় দেড় বছর তদন্ত শেষে সেই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হয়। চার্জশিটে সাহেদ ও রিজেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে কোভিড মহামারি শুরু হলে সাহেদ তার প্রধান সহযোগী মাসুদ পারভেজের মাধ্যমে রিজেন্ট ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে একটি হিসাবও খোলা হয়। ওই হিসাবটি পরিচালনা করেন মাসুদ পারভেজ ও তার বাবা সিরাজুল করিম। ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ওই হিসাবটিতে সর্বমোট ৩ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ২২৭ টাকা জমা হয়।
সিআইডির তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে, সাহেদ জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কোভিড সার্টিফিকেট দেয়ার নামে জনপ্রতি যে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নিতেন, সেসব অর্থ এই হিসাবে জমা হতো। জালিয়াতির অর্থ ও প্রতারণার অর্থে তিনি তার নিজের ও সহযোগীদের নামে ছাড়াও রিজেন্ট হাসপাতাল এবং অস্তিত্বহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৪৩টি হিসাব পরিচালনা করতেন।
এসব হিসাবে মোট ৯১ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৭ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ৯০ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৫২৪ টাকা তোলা হয়। বর্তমানে এসব হিসাবে ২ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ১১ টাকা স্থিতাবস্থায় রয়েছে।
পুলিশের দেয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, সাহেদ ও মাসুদ পারভেজসহ সহযোগীরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানান্তর-রূপান্তর-হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছেন।
Posted ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy