নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডলার সংকট ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে ফল আমদানিতে। অন্যদিকে বন্দরে যানজট ও পণ্য দ্রুত না দেয়ায় বিগত বছরের তুলনায় আমদানি ৭০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
২২ বছরের ব্যবসায় এমন চিত্র দেখেননি যশোরের ফলপট্টির ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন। জানান, রমজানের আগে চাহিদা বাড়ে বিভিন্ন ফলের। যোগানও থাকে বাড়তি। কিন্তু এবারের রমজানকে ঘিরে নেই ফল আমদানির সেই ব্যস্ততা। যার কারণ ডলার সংকটে এলসি খোলার জটিলতা আর বিদেশি ফলের ওপর বাড়তি কর।
মামুন বলেন, ‘শবে বরাতের পর থেকে শুরু হয়ে যায় বেচাকেনা। প্রতিবছর যা হয়, পণ্য আসতেই বিক্রি হয়ে যেতো। কিন্তু এবার পণ্য আসছে না বিক্রিও হচ্ছে না।’
শুধু আব্দুল্লাহ আল মামুন নয়, একই মন্তব্য সারা দেশের ফল ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, দাম বাড়ায় কমে গেছে বিকিকিনিও। ফলে লাভের বদলে ক্ষতির পাল্লাটাই ভারি হচ্ছে বেশি।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা পণ্য কিনতে পারছি না, কিন্তু বিক্রি করতে গেলে আবার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। ক্রেতারাও দাম দেখে কেনার বাইরে চলে যাচ্ছে। গত ১০ বছরের তুলনায় এ বছর কোনো বেচাকেনা নেই বললেই চলে।’
আমদানি কমের প্রভাবে দাম বেড়েছে ফলের। কমে গেছে বিক্রিও। শুধু তাই না কমেছে রমজানের অন্যতম অনুসঙ্গ খেজুরের আমদানিও। এতে শুল্কছাড়ের ঘোষণা আসলেও বাজারে প্রভাব পড়েনি ততোটা।
আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট ও শুল্ক বাড়ার প্রভাব শুধু নয়, দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরে যানজট ও পণ্য খালাসে ধীরগতিতে আগের বছরের তুলনায় আমদানি কমেছে ৭০ শতাংশ।
যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, খানিকটা স্থবিরতার পর আবার বাড়তে শুরু করেছে আমদানি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিভিন্ন পচনশীল পণ্য যেন দ্রুত খালাস হয়; সে বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা আছে। সে অনুযায়ীই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
গতবছর এই সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ ট্রাকের বেশি ফল। যেখানে এ বছর সংখ্যাটা আটকে আছে ৮শ’র নিচে।
Posted ৯:৩৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy