মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেল লিটার ১৬৩ টাকায় কিনতে পারবে ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

ভোজ্যতেল লিটার ১৬৩ টাকায় কিনতে পারবে ক্রেতারা

বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে রোববার (৩ মার্চ) থেকে ১৬৩ টাকা লিটার দরে ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শ‌নিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইমেন এন্টারপ্রেনার্স বাংলাদেশ (এ‌জিউ‌ব্লিউই‌বি) আয়োজিত অনুষ্ঠা‌ন শে‌ষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (১ মার্চ) থেকে মিলগেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৩ টাকায় ভোজ্যতেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে। গতকাল থেকে এ বিষয়ে তদারকি শুরু হয়েছে। আজও প্রতিটি তেলের মিলে আমাদের টিম গেছে।

 

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। তাতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেদিনই জানানো হয়েছিল, ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের নতুন এই দর কার্যকর হবে। তবে খুচরা বাজারে এখনো নতুন দামে তেল বিক্রি শুরু হয়নি।

শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে জানান আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য জায়েদি খেজুর, যা বস্তায় করে দেশে আসে, তার দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জায়েদি খেজুরের খুচরা ও পাইকারি দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রমজানের আগে ভোক্তাদের যেন বাড়তি দামে পণ্য কিনতে না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এতে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিকভাবে কমে আসবে। নিত্যপণ্য নিয়ে ব্যবসায়ী বা অন্য কারও কাছে সরকার জিম্মি থাকবে না। পণ্য আমদানি ও খালাস করা নিয়ে যৌক্তিক কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত সহ্য করা হবে না।

 

টিসিবির মাধ্যমে কম দামে পণ্য বিক্রির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে পাঁচটি পণ্য দিচ্ছি। তেল, চিনি সাবসিডি মূল্যে পাচ্ছে। ৭ মার্চ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হবে। এটার সরবরাহ আমরা করে দেব। এটার সংগ্রহ ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। পণ্যের মজুদ আছে এবং আদানিও করা আছে।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রমজান এবং রমজানের বাইরে নিত্য প্রয়োজনীয় যে পণ্য আছে, এটা নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা কারও কাছে জিম্মি থাকবে না।

 

রমজানে বাজার মনিটরিং নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মনিটরিংয়ের বিষয়ে আমাদের টিম ঢাকাসহ সারা দেশে আছে। এ ব্যাপারে আমাদের পরিপত্র আছে। জেলা পর্যায়ে ডিসি এবং ইউএনওদের দিয়ে মনিটরিং করাচ্ছি। পুলিশিং করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমরা এটা চাইও না। আমরা চাই বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রেখে যেন দামটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com