সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে সর্বোচ্চ ঋণ ২০ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

কৃষকদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে সর্বোচ্চ ঋণ ২০ লাখ টাকা

গরু মোটাতাজা করতে এতদিন একজন কৃষককে ব্যাংক ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারতো ব্যাংক। এখন থেকে একজন কৃষককে গরু মোটাতাজা করতে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারের তথ্য অনুযায়ী, ধান চাষ, মাছ চাষ, শাকসবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোলট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন কৃষক।

দেশে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার যে তহবিল করেছে, সেখান থেকে ব্যাংকগুলো এই ঋণ দিয়ে আসছে। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে মিলছে এই ঋণ। এই তহবিল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।

এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর জারি করা ‘দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কর্মসূচির ফলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এতে বিশ্বে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণপ্রবাহ বজায় রাখার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, এই তহবিলের অধীনে ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গাচাষি ও ফসল (ধান, শাকসবজি, ফুল ও ফল) চাষের জন্য শুধু ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে এককভাবে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

শস্য ও ফসল খাতে সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমিতে ফসল চাষের জন্য ঋণ পাবেন কৃষক। এসব ছাড়া অন্য খাতে ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।

ঋণ পরিশোধে কৃষক বা গ্রাহক তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস সময় পাবেন। এই তহবিলের ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরোনো ঋণের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে না। কোনও ঋণখেলাপি গ্রাহক এই ঋণ পাবেন না।

কৃষক পর্যায়ে ঋণ আদায়ের দায়িত্ব ব্যাংকের ওপরই থাকবে। ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওনাকে সম্পর্কিত করা যাবে না। ঋণের বকেয়া নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে শোধ না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব সমন্বয় করে আদায় করা হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৪৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com