নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের পোশাক শিল্প বৃহত্তর পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির জন্য রৈখিক (লিনিয়ার) ব্যবসায়িক মডেল থেকে বৃত্তাকার (সার্কুলার) অর্থনীতিতে রূপান্তরের দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে মনোযোগী হচ্ছে।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বকে কতটা পরিবর্তিত করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে পরিবেশের মূল্যে ব্যবসা আর করা যাবে না।
বর্তমান সময়ে এবং আগামীতে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো নিশ্চিতভাবেই এই গ্রহের ওপর প্রভাব রাখবে।
রোববার (২৭ আগস্ট) ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘দি কেইস ফর জাস্ট ট্রানজিশনস ইন এনার্জি, এগ্রিকালচার অ্যান্ড আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে গ্রিন কারখানার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন ইউএসজিবিসি কর্তৃক প্রত্যয়িত পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার মোট সংখ্যা দুইশ’র মধ্যে ৭৩টি কারখানাই প্ল্যাটিনাম-রেটেড। ইউএসজিবিসির প্রত্যায়িত এই গ্রিন কারখানাগুলোর প্রতিটিতেই সব পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য আছে এবং কারখানাগুলো প্রচলিত কারখানার তুলনায় ৪০ শতাংশ কম কার্বন নির্গত করে।
তিনি বিজিএমইএর টেকসই রূপকল্প ২০৩০ এর আওতায় পরিবেশ রক্ষায় বিজিএমইএ কর্তৃক গৃহীত ধারাবাহিক উদ্যোগগুলোর কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, রূপকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৩০ শতাংশ হ্রাসকরণ, ৫০ শতাংশ টেকসই কাঁচামালের ব্যবহার ৫০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাসকরণ, ১০০ শতাংশ জেডডিএইচসি রাসায়নিক ব্যবহার, ৩০ শতাংশ জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস, ২০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং ৩০ শতাংশ বন উজাড় হ্রাসকরণ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতের হুমকি নয়, এটা এখনই ঘটছে। এই বিষয়টি মোকাবিলার জন্য সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে কার্বন নির্গমন কমানো এবং পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া।
তিনি বলেন, ব্র্যান্ডগুলো যখন উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করছে, তখন সাপ্লাই চেইনে কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ব্র্যান্ডগুলোরই।
এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইমরান রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটির সাবেক সিইও ড. সুলতানা আফরোজসহ অন্যরা এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
Posted ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy