নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এডিবির ঢাকা অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং।
এডিবির প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক-২০২৩’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক সংকটেও ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কিন্ত আশাব্যঞ্জক। কেননা রপ্তানি গ্রোথ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটও প্রভাব ফেলেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির হার ধীরগতির অন্যতম কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদার মধ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ গত বছর ছিল মাত্র ৬ দশমিক ২ শতাংশ, সেখান থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেও।
এডিমন গিনটিং বলেন, ‘সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রতিকূলতার প্রভাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। পাশাপাশি সব খাতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কঠিন সময়েও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে৷। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহকে শক্তিশালী করা, আর্থিক খাতকে গভীর করা, এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি৷’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সরবরাহের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে। এই জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
এডিবির প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ কম হবে কারণ জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে নানা কারণে উৎপাদন খরচও বেশি। রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, কঠোর ব্যবস্থা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং পাবলিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিও ধীর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এডিবি ঢাকা অফিসের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বারিও উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২:০৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy