নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিজিএমইএ পরিচালক নীলা হোসনে আরা, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রেড ফেয়ার এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল কিম জিয়ং কি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা নিবিড় করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশ ও কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিশেষ করে দুই দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে একটি অর্থপূর্ণ উপায়ে একসঙ্গে কাজ করার মতো সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পণ্য বৈচিত্র্যকরণে, বিশেষ করে ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইলভিত্তিক উচ্চ মূল্যের ফ্যাশন আইটেম সহ নন-কটন পণ্যগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে নন-কটন টেক্সটাইল, ম্যান-মেড ফাইবার ভিত্তিক ইয়ার্ন এবং ফেব্রিক্স, ফাংকশনাল ফেব্রিক্স যেমন- পলিয়েস্টার, ভিসকস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জের মতো প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগের কথা বলেন।
তিনি বলেন, যৌথ উদ্যোগের বিনিয়োগে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু উদ্ভাবন, বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মূল কৌশলগত অগ্রাধিকার, তাই বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা পরস্পরের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। কোরিয়ার এমএমএফ, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ডাইস এবং অন্যান্য কাঁচামাল রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য। অন্যদিকে কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পোশাক রপ্তানি বাজার। সুতরাং বাণিজ্যে উভয়পক্ষের জন্য পারস্পরিক সুবিধা রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ২০২৩ সালের নভেম্বরে কোরিয়ায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট আয়োজনের জন্য বিজিএমইএ’র উদ্যোগ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং এ বিষয়ে তার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কোরিয়ার অবদান, বিশেষ করে এই খাতের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তার ক্ষেত্রে দেশটি যে সহায়তা দিয়েছিল, তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উন্নয়নে কোরিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
Posted ১:১০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy