নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
অসংখ্য জনপ্রিয় বাউল গান ও গণসংগীতের রচয়িতা বাউল শাহ আব্দুল করিমের ১০৮তম জন্মদিন গতকাল পালিত হয়েছে। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান।
বসন্ত বাতাসে সইগো, বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে, কোন মেস্তরি নাও বানাইল, কেমনে ভুলিব আমি বাঁচি না তারে ছাড়াসহ অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা এই বাউল সম্রাট।
দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তার নিত্যসঙ্গী। গানে ভাটি অঞ্চলের সুখ-দুঃখ তুলে এনেছেন শাহ আবদুল করিম। মানুষের জীবনের সুখ-প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান সব সময় অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলে। সাদাসিধে জীবন কেটেছে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে।
দীর্ঘ সংগীত জীবনে বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের পাশাপাশি ভাটিয়ালি গানেও তার দখল প্রবল। তিনি ১৬ শতাধিক গান লিখেছেন ও সুর করেছেন। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শরীয়তি, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন তিনি।
সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন একুশে পদকসহ বহু পদক, সম্মাননা ও সংবর্ধনা। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি হাসপাতালে এই ভাটির গানের রাজা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে আজ উজান ধলের বাড়িতে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও বাউল গানের আয়োজন করা হয়েছে।
কিংবদন্তি এই বাউল সশরীরে না থাকলেও তার গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সব স্তরের মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের মানুষের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ্ আব্দুল করিম।
Posted ৮:১১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy