জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীদের পারদর্শী হতে হবে। অবিলম্বে নারীদের শিক্ষা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে নিজস্ব কাজের ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখবেন।’
রোববার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস (আইডিয়া) ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট উইমেন: স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইডিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন মুখ্য সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য দেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব নাসিমা বেগম।
সেমিনারে আইডিয়া ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক এবং বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। পরিবার, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সম্মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবার, সমাজ ও দেশের সর্বক্ষেত্রে নারীর প্রতি সুযোগের সমতা নিশ্চিত করলেই সকল অনগ্রসরতা দূর করে নারী এগিয়ে যাবে।
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীদের ভূমিকা ও করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং লিঙ্গ বৈষম্যহীন উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুকূল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে প্রয়োজনে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দিতে হবে।
