নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) তেজস্ক্রিয় জ্বালানি ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রকল্প এলাকায় বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন ও আরএনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি যুক্ত আছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর। এরপর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচের হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।
দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকারের অংশ। ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পের জ্বালানি হস্তান্তর আয়োজনকে কেন্দ্র করে রূপপুর প্রকল্প এলাকা বর্ণিল আয়োজনে সাজানো হয়েছে। অতিথিরা চারটি পয়েন্ট থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ও বক্তৃতা দেবেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প দুটি ইউনিটে বিভক্ত। প্রথম ইউনিটের কাজ এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ৭০ শতাংশ এগিয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প। ১ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) ব্যয়ের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থ রাশিয়া ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম দেশে পৌঁছানোর পর ২৯ সেপ্টেম্বর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তা রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) চালু করার জন্য ৭৫ টন ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হবে।
একবার জ্বালানি দেওয়ার পর ১৮ মাস নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এরপর এক-তৃতীয়াংশ ইউরেনিয়াম অর্থাৎ ২৫ টন নিউক্লিয়ার বর্জ্য তুলে নিয়ে সেখানে নতুন ইউরেনিয়াম দিতে হবে। এরপর চলবে আরও ১৮ মাস। এভাবে ১৮ মাস পরপর আংশিক জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে।
Posted ৩:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy